Skip to main content

তেহারি রান্নার রেসিপি


জিভে জল আনা অত্যন্ত লোভনীয় চেহারার তেহারিটা দেখেই কি পারফেক্ট মনে হচ্ছে না? একেকজন একেকভাবে তেহারি রান্না করেন। তবে হ্যাঁ, অনেকেরই তেহারিতে পারফেক্ট স্বাদটা আসে না। অনেকে আবার অনুসরণ করেন খুবই জটিল রেসিপি। চলুন, আজ জেনে নি আপনার মনের মত পারফেক্ট স্বাদের তেহারি রান্না করার একটি দারুণ সহজ রেসিপি। একদম নতুন রাঁধুনিদেরও এই রেসিপি দেখে রাঁধলে খাবারটি হবে দারুণ সুস্বাদু।

উপকরণ:

গরুর মাংস ১ কেজি, দই (টক+মিস্টি বা যে কোনো টা) ৫ টে চামচ, পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ, আদা বাটা ৩ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টে চামচ, সরিষা বাটা ১ টে চামচ, কাঁচা পেঁপে বাটা ১ টে চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, কালো গোলমরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, তেজপাতা ২টি, দারচিনি ২ সেমি ৫ টুকরো, এলাচ ৫টি, লবঙ্গ ৪টি, কাঁচামরিচ ১৫ টি মাঝে চিরে নেয়া, সরিষার তেল ১ কাপ, সয়াবিন তেল হাফ কাপ, পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, আলু চৌকো করে কাটা ও ভেজে নেয়া (২ কাপ), লবণ ১ চা চামচ মাংসের জন্য + ১ চা চামচ পোলাও এর জন্য গরম পানি ১০ কাপ

প্রণালী:

  • -মাংস ছোট টুকরো করে ধুয়ে নিন। ২ টে চামচ করে আদা-রসুন বাটা সহ সমস্ত বাটা ও গুঁড়ো মসলা অর্ধেকটা সরিষার তেল, পুরোটা সয়াবিন তেল এবং দই, লবণ দিয়ে মাংস মাখিয়ে রাখুন। খুব ভালো হয় মাখিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিতে পারলে।
  • -একটা বড় হাঁড়িতে তেল গরম করে অর্ধেকটা করে পেঁয়াজ তেজপাতা ও গরম মসলা সামান্য ভেজে মাংস, লবণ দিন। মাংস কষিয়ে ভুনা করুন।
  • -মাংস কষানো হলে অর্ধেকটা গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন যেন মাংস সিদ্ধ হওয়ার পরও বেশ খানিকটা ঝোল থাকে। ঝোল টেনে এলে বাকি অধের্কটা পানি দিন। এ সময় অল্প তেলে আলু ভেজে সেটাও রেডি রাখুন।
  • -মাংস সিদ্ধ হয়ে এলে আলু ও ঝোলে দিয়ে দিন এবং মোটামুটি সিদ্ধ করে নিন।
  • -এবার পোলাও এর জন্য প্যানে বাকি সরিষার তেল এ পেঁয়াজ কুচি ও বাকি আদা রসুন বাটা ও গরম মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন।চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে মসলায় দিন। ২-৩ মিনিট ভাজুন।
  • -গন্ধ ছড়ালে রান্না করা মাংস ঝোল সহ চালের ওপর ঢেলে মিশিয়ে দিন। ঝোলের পানিতেই পোলাও রান্না হয়ে যাবে। লবণ দিন। চাল ফুটে গেলে নিচে তাওয়া দিয়ে দমে দিয়ে দিন এবং ওপরে কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে ২০ মিনিট রাখুন। চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। ২০-২৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলবেন।
  • -সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন।

Comments

সর্বাধিক পড়া

স্তনের আকার নিয়ে আমি গর্বিত:স্বস্তিকা মুখার্জি

আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে ঘিরে দেশ-বিদেশের তারকারা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বলিউডের নারী তারকারা যেমন সরব হয়েছেন বিশেষ দিনটি উপলক্ষে, তেমনি টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান ভক্তদের। পাশাপাশি সেখানে একটি পোস্টের মাধ্যমে সমালোচকদের মোক্ষম জবাব দিলেন স্বস্তিকা। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এক ডিজাইনারের পোশাক পরে ছবি পোস্ট করেছিলেন স্বস্তিকা। নীল আর সাদার মিশ্রণের পোশাক পরা ছবিটি দেখে অনেকেই প্রশংসা করে মন্তব্য করেছেন। তবে সমালোচনারও অভাব হয়নি। কেউ খোঁটা দিয়েছেন বয়স নিয়ে। কেউ আবার শরীর। অভিনেত্রীর স্তনের আকার ঠিক নেই বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। কেউ বলেছেন, স্তনের আকার ঠিক না থাকায় পোশাকটা তাকে মানাচ্ছে না। এর জবাবে স্বস্তিকা লিখেছেন, ছবিতে সব নারীকে সবসময় সুন্দর দেখানো বাধ্যতামূলক। তাদের ঠোঁট, স্তন, কোমর, নিতম্বের আকার যথাযথ হতে হবে। যদি এর একটাও না থাকে, তবে সার্জারি করতে যাও, সেটা ঠিক করে নিয়ে এসো। আর তা না হলে সমালোচিত হও। কী প্রহসন!’ ছবির মন্তব্যের ঘরে একজন স্বস্তিকার স্তনের আকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমন প্রশ্নে নিজের ব্যক্তিত্ব ঠিক রেখে ঠ

বাংলাদেশি এক তরুণী বিয়ে করলেন আমাজন জঙ্গলের বৃদ্ধ আদিবাসীকে

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফিল্মমেকার ইকুয়েডরের ঘন জঙ্গলে শুটিং করতে গিয়ে বিয়ে করলেন এক আদিবাসী সর্দারকে। ছোট্ট কুটিরে হইহই করে আদিবাসীরা বিয়ে দিলেন সারা-গিংকটোর। রীতি মেনে শরীর অনাবৃত করে শুরু হয় বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণ। রাতভর চলে নাচ-গান। বীর যোদ্ধা গিংকটোকে বিয়ে করে সারা এখন আমাজন জঙ্গলের রানি। তাঁকে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে ম্যাকাও পাখির পালক দিয়ে তৈরি মুকুট। কোমরে বাঁধা পাখির পালকের ক্ষুদ্র পোশাক। শিক্ষিতা, আধুনিকা সারা কিভাবে আদিবাসীদের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে পারলেন? সারা জানিয়েছেন, আদিবাসীদের জীবনযাত্রাকে ক্যামেরাবন্দি করার জন্য তাঁদের আস্থা অর্জন করা ভীষণ দরকার ছিল। কিন্তু বিয়ে না করলে তাঁদের মন জেতা সহজ ছিল না। তাই বয়সে ৩০ বছরের বড় হলেও গিংকটোকে বিয়ে করতে দু’বার ভাবেননি সারা। অনাবৃত শরীরে বিবাহ অনুষ্ঠান হবে শুনে চমকে গিয়েছিলেন। সারার কথায়, গ্রামের সব পুরুষ-মহিলা কোনো পোশাক না পরে আমাদের বিয়ে দেখতে এসেছিল। এটাই ওদের রেওয়াজ। এক মহিলা যখন আমাকে নিরাবরণ করে দিল তখন মনে হচ্ছিল এক দৌড়ে ওখান থেকে পালিয়ে আসি। এই সব রেকর্ড হবে ভেবেই অস

আবারো ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে সাকিব

সৌদিতে পবিত্র হজ পালন করে মাকে নিয়ে দেশে ফেরা দেখে মনে হচ্ছিলো এবার বুঝি কন্ডিশনিং ক্যাম্পের শুরু থেকেই উপস্থিত থাকবেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু শেষ খবর হচ্ছে, আগামী ১৯ আগস্ট সোমবার থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানকে নিয়ে তিন জাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের যে প্রস্তুতি শুরু হবে, তাতেও শুরু থেকে থাকতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। সাকিব আবার ছুটি চেয়েছেন। তবে সেটা হজ থেকে দেশে ফিরে বিশ্রামের জন্য নয়। আসল কথা হলো, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলা সাকিব হাল হাসান এই মুহূর্তে দেশেই নেই। পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরে দুদিন পরই যুক্তরাষ্ট্র চলে গেছেন সাকিব। স্ত্রী শিশির এবং একমাত্র কন্যা অ্যালাইনা এখন যুক্তরাষ্ট্রেই অবস্থান করছেন। মাকে নিয়ে হজ করতে যাওয়া সাকিব স্ত্রী ও কন্যাকে তাই যুক্তরাষ্ট্র রেখে গিয়েছিলেন। হজ করে দেশে ফিরে এখন তাদের আনতেই যুক্তরাষ্ট্র গেছেন সাকিব। এদিকে তিনি ঠিক কবে ফিরবেন? জাতীয় দল সংশ্লিষ্টরা জানাতে না পারলেও তার এক ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাকিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ঢাকা ফিরতে ফিরতে আরও সপ্তাহখানেক ল

যে কারণে বাবাকে খুন করে তিন বোন

২০১৮ সালের ২৭ জুলাই। ৫৭ বছর বয়সী মিখাইল খাচাতুরান ঘুমিয়ে ছিলেন নিজ বাড়িতে। ওই সময় তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তারই তিন মেয়ে। ঘটনাটি ঘটে রাশিয়ার মস্কোর একটি ফ্ল্যাটে।হত্যাকাণ্ডটি ওই সময় রাশিয়ার পাশাপাশি গোটা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। অনেকেরই ধারণা ছিল না, ঠিক কী কারণে তিন বোন বাবাকে খুন করেছিল। শুরু হয় তদন্ত। ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে খুনের আসল কারণ।হত্যাকাণ্ডের সময় তিন মেয়ে ক্রিস্টিনা, অ্যাঞ্জেলিনা ও মারিয়ার বয়স ছিল যথাক্রমে ১৯, ১৮ ও ১৭ বছর। তিন বোন পুলিশকে জানায়, ঘটনার দিন তাদের বাবা তিন বোনকে একে একে তার ঘরে ডেকে নেন। এরপর ঘর পরিষ্কার না করায় প্রচণ্ড বকাঝকা করেন এবং তাদের মুখে পেপার গ্যাস স্প্রে করেন।তারা জানান, এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর তিন বোন ঘুমন্ত বাবার ওপর ছুরি, হাতুড়ি ও পেপার স্প্রে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনজন মিলে বাবার মাথা, ঘাড় ও বুকে কমপক্ষে ৩০টি আঘাত করে তাকে হত্যা করে। এরপরই তারা পুলিশকে খবর দেয়।শুধু বকাঝকা করার জন্য বাবাকে এভাবে কেউ হত্যা করতে পারে– এটা মানতে পারছিলেন না তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এরপরই তারা তদন্তে নামেন। তদন্তে তারা ওই পরিবারের পারিবারিক সহিংসতার দী